ন্যাভিগেশন মেনু

আত্রাইয়ে ক্রেতাশূন্য বাজারে অলস সময় কাটচ্ছেন দোকানিরা


নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দোকানিদের সাধারণত সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা দম ফেলানোর ফুসরত থাকে না। তপ্ত দুপুরে অনেক দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা একটু বিশ্রামের সুযোগ পান।

কিন্তু সরকার ঘোষিত লকডাউনের চতুর্থদিনে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। বেলা ১০টার দিকেও অনেক দোকানে দেখা নেই ক্রেতার। অন্যান্য দিনগুলোতে এই সময়ে যখন তাদের ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার হয় আজ সেই সময়ে ক্রেতাদের জন্য চেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরুর আগে অনেকে বেশি করে বাজার করেছেন। যার ফলে এখন বাজার খোলা থাকলেও অতিরিক্ত বাজার মজুদ করার কারণে এখন আর তাদের বাজারে আসতে হচ্ছে না। আর তাই ক্রেতাশূন্য বাজারে সবজি, মাছ, মাংসের দোকানে অলস সময় কাটছে দোকানিদের।

উপজেলার ভবানীপুর মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা অসিত হালদার বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগে আমাদের বেচাকেনা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণার পর এখন মাছ কিনে বিপদে পড়তে হচ্ছে। আমরা বসে থাকি কিন্তু মাছ কেনার মানুষ নাই।

তিনি বলেন, লকডাউনের ঘোষণা শুনে অনেকে বেশি বেশি করে বাজার করেছে। সবাই মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রেখেছেন। এখন বাজারে লোক নেই। আগে এই সময়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটতো কিন্তু এখন ক্রেতাই নেই। কেনা দামেও মাছ বিক্রি করতে পারছি না।

মাছ ব্যবসায়ী আনাম সরদার তার দোকানে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভারকার্পের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। রুই বিক্রি করছেন ২০০ টাকা, কাতল বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে।

আনাম সরদার জানান, আগের চেয়ে মাছ বর্তমানে কম দামে বিক্রি করছেন। তারপরেও ক্রেতা না থাকার কারণে মাছ বিক্রি করতে পারছেন না।

এছাড়া বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০, লাল কক মুরগি ২০০ এবং সাদা রঙের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায়।

সবজির বাজারও অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবু ২০ টাকা হালি এবং কাঁচামরিচ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিএআর/সিবি/এডিবি/