ন্যাভিগেশন মেনু

আফগানিস্তানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ঘোষণা তালেবানদের


দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে আফগানিস্তান থেকে তাদের মার্কিন সৈন্য বিদায়ের পর দেশ এখন ‌পূর্ণ স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছে তালেবান।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ ২০ বছর দখলদারিত্বের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহারকে ‘এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আফগানিস্তান এখন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য এখান থেকে অর্জন করতে পারেনি।’

সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ প্রতিজ্ঞা করেন, ‘আফগানরা তাদের স্বাধীনতা, মুক্তি ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা করবে।’

জবিউল্লাহ মুজাহিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাশ্চাত্যের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আফগানিস্তান চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ মার্কিন সৈন্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহারের পর তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি দখলদার বাহিনী কিছুক্ষন আগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ বিমানগুলো চলে যাবার কথা জানানো হলেও, হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, কাবুল থেকে আমেরিকান এবং সংকটে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিতে 'শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত' সহায়তা অব্যাহত রাখবে। মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়ার ওই কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সর্ববৃহৎ কার্যক্রম হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

এর আগে, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের আঞ্চলিক কার্যক্রমের ডেপুটি ডিরেক্টর সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম হ্যাঙ্ক টেইলর সাংবাদিকদের জানান, শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাদের অব্যাহত আছে।

হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন জানিয়েছে, তালেবান আগস্টের শুরুতে আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ৫ হাজার আমেরিকানসহ মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ওই সময়কালে প্রায় ৬ হাজার আমেরিকান আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন। কিন্তু 'সেখানে এখনও অল্প সংখ্যক মানুষ রয়েছেন, যাদেরকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।

ওআ/