ন্যাভিগেশন মেনু

আফগানিস্তানে দাড়ি কামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো তালেবান


আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে ইসলামি আইন লঙ্ঘন করার কথা বলে দাড়ি কামানো অথবা ছাঁটার ব্যাপারে নরসুন্দরদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তালেবান।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিবিসি জানায়, এ ব্যাপারে তারা নরসুন্দরদের আনুষ্ঠানিক নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে চুল ও দাড়ির ক্ষেত্রে ইসলামি আইন অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এই ব্যাপারে কোনও ধরনের অভিযোগ করার অধিকার কারও নেই।

নোটিশে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের কঠোর সাজার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

কাবুলের বেশ কিছু নরসুন্দর বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারাও একই ধরণের আদেশ পেয়েছেন। তালেবানদের এমন আদেশে তারা পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কাবুলের একজন নরসুন্দর জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত তাদের কাছে আসছেন এবং শাসিয়ে যাচ্ছেন যে, যারা আদেশ অমান্য করছে তাদের ধরার জন্য পুলিশ পাঠানো হবে।

তালেবান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, এই নির্দেশগুলো তাদের অতীত ক্ষমতার কঠোর বিধিবিধানের ইঙ্গিত দেয়।

গত মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালেবানরা বিরোধীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর), তালেবান গ্রুপের যোদ্ধারা চার অভিযুক্ত অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যা করে এবং তাদের মরদেহ হেরাত প্রদেশের রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হয়।

কাবুলের সবচেয়ে বড় হেয়ার-ড্রেসিং দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তিনি একটি ফোন কল পেয়েছেন। নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে তাকে একজন হুমকি দিয়েছেন 'মার্কিন স্টাইল' অনুসরণ না করার জন্য।

একজন বলেছেন, 'আমি ১৫ বছর ধরে এই পেশায় আছি। কিন্তু আমি আর চালিয়ে যেতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।'

তার সেবাগ্রহীতাদের দাড়ি কামানো বন্ধ করে দিয়েছেন। দাম কমিয়েও খদ্দের আকর্ষণ করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন তিনি।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে জমকালো চুল না রেখে বরং পুরুষদের দাড়ি রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দাড়ি চেঁছে ফেলা অথবা বিভিন্ন কায়দার চুল-দাড়ি রাখা আফগানিস্তানে জনপ্রিয় হয়েছে।

এডিবি/