ন্যাভিগেশন মেনু

আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা অনৈসলামিক: ইমরান খান


আফগানিস্তানে নারীদেরকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অনৈসলামিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, তাছাড়া তালেবান সরকারকে কী কী করতে হবে তার বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন ইমরান খান।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা যেসব বিবৃতি দিয়েছে সেগুলো খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আমি মনেকরি, তারা মেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেবে।'

তিনি বলেন, 'মেয়েরা শিক্ষিত হতে পারবে না, এমন ধারণা স্রেফ অনৈসলামিক। এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।'

গত সপ্তাহে তালেবান নেতৃত্ব স্কুল খুলে দিলেও মেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। শিক্ষকতার কাজে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষকরা।

ইমরান খান বলেন, 'এখনই কোনও কিছু বলার মতো সময় আসেনি। তার আশা, আফগান নারীদের অধিকার দেওয়া হবে।

গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা বাড়ছিল যে দেশটিতে ১৯৯০ দশকের মতো একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা ফেরত আসবে, যেখানে কট্টর ইসলামপন্থীরা নারীদের অধিকারকে চূড়ান্তভাবে খর্ব করেছিল।

তালেবান নেতৃত্ব বলে আসছে, নারীদের অধিকারকে সম্মান করা হবে তবে তা 'ইসলামের আইনের বিধিবিধান অনুযায়ি'।

গত সপ্তাহে মেয়েদেরকে বাদ রেখে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল ফেলে দেয়। পরে তালেবান মুখপাত্র বলেন, মেয়েদেরকে যত দ্রুত সম্ভব স্কুলে ফেরানো হবে।

কিন্তু এটা স্পষ্ট হয়নি, কবে নাগাদ স্কুলে ফিরতে পারবে মেয়েরা এবং তাদেরকে যদি শ্রেণিকক্ষে ফিরতে দেয়া হয় তাহলে ঠিক কী ধরণে শিক্ষার সুযোগ তারা পাবে।

তাছাড়া, বিবিসির জন সিম্পসনকে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আদায় করতে তালেবান সরকারকে পাকিস্তানের শর্ত পূরণ করতে হবে।

তিনি আফগান নেতৃত্বকে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে এবং মানবাধিকারকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান। 

ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়, যা পাকিস্তানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

তালেবান বাস্তবতা মাথায় রেখে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য শর্তগুলো পূরণ করছে কী না, এমন প্রশ্নে ইমরান খান বারবার আহ্বান জানান, আন্তর্জাতিক মহলের উচিত তাদেরকে আরও সময় দেওয়া।

আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের সাথে মিলে পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নেবে, তারা তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে কি না।

'সব প্রতিবেশী একসাথে হয়ে দেখবো তাদের কতোটা উন্নতি হচ্ছে। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া না দেওয়া হবে একটি সমন্বিত সিদ্ধান্ত', বলেন তিনি।

জিহাদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে দৃঢ় মিত্র বলে মনে করেন না সবাই। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তালেবানকে সাহায্য সহযোগিতা করার। পাকিস্তান যদিও এই অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করে আসছে।

৯/১১ হামলার পর কথিত 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে' যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে অবস্থান প্রকাশ করে পাকিস্তান। কিন্তু একইসময়ে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তালেবানের মতো ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

এডিবি/