আফগানিস্তান থেকে আরও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কতোজন নাগরিক ওই ফ্লাইটে ছিলেন এর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আরেরিকা জানায়, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের এবং উদ্বেগের মধ্যে সে দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রীবাহী বিমানের এ ধরণের তৃতীয় ফ্লাইট।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ এক ট্যুইট বার্তায় জানান, তিনি ‘কৃতজ্ঞ বোধ করছেন যে আরও আমেরিকান কাতার ফ্লাইটে দেশ ছাড়তে সমর্থ হয়েছেন।‘
একজন আফগান কর্মকর্তার মতে ফ্লাইটে ১৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল। তবে এরমধ্যে কয়জন আমেরিকান ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ২৮ জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং ৭ জন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা ওই ফ্লাইটে রওয়ানা হন।
গত সপ্তাহে তিন শতাধিক বিদেশি নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী এবং বিশেষ ভিসাধারী আফগান কাবুল ত্যাগ করতে সমর্থ হন। সংবাদমাধ্যমের কাছে কথা বলার অনুমতি না থাকায় এক কর্মকর্তা তাঁর পরিচয় গোপন রেখে বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটসহ আরও কয়েকটি ফ্লাইট যাত্রী বহন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও কতোজন আমেরিকান নাগরিক সেখানে রয়ে গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে দূত খলিলজাদ ট্যুইটারে জানান, ‘তারা যদি স্বদেশে ফিরে আসতে চান, তবে তাদের সরিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সিবি/এডিবি/