ন্যাভিগেশন মেনু

আমি প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছি: নায়লা নাঈম


‘আমি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। এই হয়রানি থেকে আমার মা-বাবাও রক্ষা পাচ্ছে না। আমি পরিবার নিয়ে এক প্রকার একঘরে হয়ে আছি। প্রতিবেশীরা বাঁকা চোখে দেখে।’

শনিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইস্কাটনে একটি হোটেলে এক সংবাদ সমম্মেলনের আয়োজন করে এসব অভিযোগ করেন নায়লা নাঈম।

সেখানে তিনি বলেন, গত কয়েক মাস যাবত আমি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের সোসাইটির সহসভাপতিসহ বেশ কয়েকজন থানায় অভিযোগ করেন, আমার বাসায় পাঁচশ’ বিড়াল আছে। যা নাকি তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ জন্য প্রায় প্রতিদিন বাড্ডা থানা থেকে আমার নম্বরে ফোন দেয়। এমনকি পুলিশের এসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে দিয়েও বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থার কথা বলা হয়। এই মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছেই। আবার নানাভাবে আমাকে বলা হয়, আমি বিড়াল বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসা করি। মূলত আমাকে বাড়ি ছাড়া করতেই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, কিছুদিন আগে তাদের বিল্ডিংয়ে কিছু অংশে আইন বহির্ভূতভাবে নকশা করতে আসে। তাতে বাধা দিয়েছিলেন নায়লা। এরপর থেকে সোসাইটির সহসভাপতি শহীদ সাহেব, ল্যান্ড ওনার হান্নান সাহেব তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। পুলিশসহ নানাভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তারা দলবল নিয়ে যখন তখন তার বাসায় আসতে চায়। এমনকি পার্কিংয়েও তিনি তার মোটরবাইক চার্জ দিতে পারেন না। বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে তাকে।

নায়লা আরো বলেন, অসুস্থ বিড়াল-কুকুরকে সেবা দেয়া তো খারাপ কাজ হতে পারে না। আমার বাসায় পশুপাখি থাকবে না মানুষ থাকবে, সেটা তো আমার বিষয়। তারপরও আমি দুই মাস সময় নিয়ে বলেছিলাম, কিছু বিড়াল দরকার হয় স্থানান্তর করব। কিন্তু তারা সে সুযোগও দেয়নি। সিটি করপোরেশন, বাড্ডা থানা, পুলিশের আইজি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। আমি সবসময় এগুলো কম্প্রোমাইজ করেছি। তারা তা দুর্বলতা ভেবেছেন। এগুলো নিয়েই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।

মডেলিংয়ে আলোচিত হলেও নায়লা একজন দন্ত চিকিৎসক। এছাড়া পশু-পাখিদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে আসছেন তিনি।

ওআ/