ন্যাভিগেশন মেনু

আমের রাজধানীতে চলছে জমজমাট বেচা-কেনা


ভরা মওসুম। তাই আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী এখন সরগরম। যদিও এবার গাছ থেকে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আম ভাঙার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মে মাসেই। কিন্তু রোজার কারণে আম ভাঙেননি রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ঈদের ছুটি শেষে আজ শনিবার (০৮ জুন) থেকে পুরোদমে আম ভাঙা শুরু হয়েছে রাজশাহীতে। আম আসায় বেচাকেনাও জমে উঠছে। কিন্তু দু:সংবাদ আম প্রেমিদের জন্য। কেননা এবার রাজশাহীতে আমের বাজার চড়া। আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা কারণে এই মৌসুমে আমের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে সরবরাহ কম থাকায় এবার আমের বাজার চড়েছে। আর এ কারণে এ বছর সময়ের আগেই আম ফুরিয়ে যাবে রাজশাহীর বাজার থেকে। এ এলাকার সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর হাট। রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশেই পুরনো কাচারি মাঠকে ঘিরে আমের হাট জমতে শুরু করেছে। প্লাস্টিকের ক্যারেটে করে থরে থরে সাজানো হয়েছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন জাতের কাঁচা-পাকা আম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় এই আমের হাট। ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই প্রিয়জনদের জন্য ফেরার পথে আমের ঝুড়ি নিয়ে ফিরছেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতে, গত ২০ মে থেকে জাত আম খ্যাত গোপালভোগ বাজারে আসে। বর্তমানে গোপালেই জমতে শুরু করেছে আমের হাট। তবে সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। বানেশ্বর হাটে ঈদের আগে গোপালভোগ, গুটি, রাণীপছন্দ এই তিন জাতের আম বিক্রি শুরু হয়। শুরুতে গোপালভোগ প্রতি মণ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, এবং গুটি জাতের ও রাণীপছন্দ আম বিক্রি ৯০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৬০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন দাম বেড়েছে। গুটি আম নেই। গোপালভোগ প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, খিরসাপাত ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা ও রাণীপছন্দ আম ১ হাজার ৮০০ থেকে থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই দর বাড়ছে বলে জানান তিনি। সারাদেশের চাহিদা মেটাতে এরই মধ্যে সুস্বাদু এই আম রাজশাহীর পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পবা, মোহনপুর, তানোর গোদাগাড়ী, বাগমারাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছে। এবার শুরু থেকেই ঘন কুয়াশা, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি এবং তাপদাহের কবলে পড়ে রাজশাহীর আম। এ কারণে আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় ফলন কমেছে। যে কারণে সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। আর তাই দামও একটু বেশি বলে জানান এই ব্যবসায়ী। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পুরো মাস গোপালভোগ, রাণীপছন্দ, খিরসাপাত এবং লক্ষণভোগ বা লখনা নামানোর কথা ছিল। সে আম এখন নামানো শুরু হয়েছে। ল্যাংড়া আম গত ৬ জুন থেকে এবং আম্রপালি এবং ফজলি আগামী ১৬ জুন থেকে নামানো যাবে। আর সবার শেষে ১৭ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা জাতের আম।

এসএস