ন্যাভিগেশন মেনু

আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির অপেক্ষায় তালেবান


তালেবান আফগানিস্তানের উপর তাদের 'বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী' শাসনের জন্য আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির আশা করছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কমিশনের সিনিয়র সদস্য আব্দুল কাহার বলখী ভয়েস অব আমেরিকাকে এ কথা জানান।

তালেবানদের যুক্তি হলো, কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার ফলে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং কয়েক দশকের নিষ্ঠুর যুদ্ধে আফগানদের যে কষ্ট তা লাঘব হবে।

সাংস্কৃতিক কমিশনের ওই সিনিয়র সদস্য বলেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে 'অর্ন্তভুক্তিমূলক ইসলামি সরকার' গঠনের যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছিল তার প্রক্রিয়া চলছে এবং শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের কাছে সমঝোতার একটি অনন্য সুযোগ রয়েছে এবং কেবল আমাদের মোকাবেলা করা জন্য যে চ্যালেঞ্জ তার জন্য একত্রিত হওয়া নয়, বরং সমগ্র মানবজাতি এবং বিশ্ব নিরাপত্তা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যদি আমাদের সমগ্র জনগনকে বাদ বা উপেক্ষা করা হয় তাহলে তা অর্জিত হতে পারে না।’

আফগানিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোনও প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়ে দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রবেশ এবং দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরে তিনি এসব কথা বলেন।

তবে, সমালোচকরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তালেবানের সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়, গ্রুপটি আল-কায়দা এবং অন্যান্য চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ওই রিপোর্টে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দ্রুত বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও মহিলাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথাও উল্লেখ করেন।

সিবি/এডিবি/