ন্যাভিগেশন মেনু

আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা ফিরিয়ে দিলেন আদালত


আল জাজিরার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় মামলার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই মামলা গ্রহণের পক্ষে বাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি শোনে ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেওয়ায় মামলাটি ফেরত দেওয়া হল।’

আল-জাজিরার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আরজি নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতে যান আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।

মামলার আবেদনে, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সউয়াগ, আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যানকে আসামি করে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন হয়েছিল।

মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ভুয়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবেদনটি ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে।

আবেদনের আরও বলা হয়, আসামিরা তাদের এহেন অবৈধ ষড়যন্ত্রমূলক অবৈধ কার্যক্রমের দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ। যা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশিত আসামিসহ তাদের নেপথ্যের মদতদাতা, অর্থের যোগানদাতা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম ঠিকানা উদঘাটনসহ উপযুক্ত আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

এমআইআর/ওআ