ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলীগড় থেকে ত্রিপুরা যাওয়ার পথে আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ১৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে রেলওয়ে স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ১৫ জন রোহিঙ্গাকে ঘুরতে দেখা যায়। তাদের গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ। এর পর তাদেরকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, গত প্রায় এক দশক ধরে এই রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা উত্তর প্রদেশ থেকে আসামের পথ হয়ে ত্রিপুরার দিকে যাচ্ছিলেন।
ত্রিপুরা থেকে অন্য দেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আটক ১৫ রোহিঙ্গার মধ্যে ছয়টি শিশু, তিনজন নারী ও ছয়জন পুরুষ রয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুলাই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বদরপুরে আসে তারা। সেখানে একটি লজে দু’দিন কাটানোর পর শনিবার আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ওই সময় আরপিএফের নজরে পড়ে যায় তারা। তাদের ভাষা এবং আচার আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। রেলের টিকিট ও নথি দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি। তাদের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে; যা থেকে জানা গেছে তারা মায়ানমারের বাসিন্দা।
আরপিএফের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরেই তাদের গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে- ২০১২ সাল থেকেই তারা ভারতে রয়েছে। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন ছিল তারা। এরপর উত্তরপ্রদেশে গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। এরপর আবার শিলিগুড়িতে ফিরে আসে কাজের জন্য। সেখানে কাজ না পেয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছিল।
এস এস
