ন্যাভিগেশন মেনু

ইরফান সেলিমের জামিন সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল


নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল রয়েছে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

অন্যদিকে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

গত ২২ এপ্রিল শুনানির এই দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ওইদিন ইরফান সেলিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই নৌকর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়িটি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর শুরু করলে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছরের এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন।

পরে ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এরপর সেদিনই ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ মামলায় ইরফান সেলিম ঢাকার আদালতে জামিনের আবেদন করলে ওই আদালত গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন।

এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সিবি/এডিবি/