ন্যাভিগেশন মেনু

ইসরাইলের সাথে বাহরাইন ও আরব আমিরাতের চুক্তি


স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনি জনগণের কয়েক দশকের সংগ্রামকে পাশ কাটিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চুক্তি করেছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে তিন দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, শান্তি ও সহযোগিতা বিষয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়। খবর বিবিসি’র।

এই চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সূর্যোদয় বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এ চুক্তির সমালোচনা করে এ দিনকে একটি হতাশার দিন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ আল জায়ানি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিন দেশই এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে।

এই চুক্তির মধ্য দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। আরব দেশগুলো কয়েক দশক ধরেই ইসরায়েলকে বয়কট করে এসেছে। তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে তাদের শর্ত ছিল, আগে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধের অবসান ঘটতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব শিগগিরই আরও অন্তত পাঁচ/ছয়টি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তির পথ অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা ইসলায়েলের সঙ্গে তাদের সংঘাতের সামাধান না হওয়া পর্যন্ত কাউকে এমন চুক্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সরে গেলেই কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পর মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলের অধিগ্রহণের সমাপ্তি না হলে ঐ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ফিরবে না।

ওআ/