ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে গাজরের ভালো দাম পেয়ে চাষির মুখে হাসি


পাবনার ঈশ্বরদীতে গাজরের ফলন দিন দিন বাড়ছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গাজর বিক্রি করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সমতল জমিতে গাজর আবাদ হয়ে আসছে। প্রতিবছর এখানে গাজরের আবাদ বেড়েই চলছে। এ বছর ঈশ্বরদী উপজেলার ৭২০ একর জমিতে গাজরের আবাদ করা হচ্ছে। চাহিদা থাকা ও দাম ভালো পাওয়ায় প্রতিবছর গাজরের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে লক্ষ্মীকুন্ডা, সাহাপুর ও সলিমপুর ইউনিয়নে গাজরের আবাদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বাকী চার ইউনিয়নের মধ্যে পাকশী, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি ও সাঁড়ায় তুলনামূলক আবাদ কম। এখানকার বেলে দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য ভীষণ উপযোগী।

সরেজমিনে কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমে একই জমিতে দুই দফায় কৃষকেরা গাজরের আবাদ করে থাকেন। আগস্ট থেকে জানুয়ারির মধ্যে অর্থাৎ রবি মৌসুমের শুরুতে গাজরের আবাদ শুরু হয়। আবাদের তিন মাসের মাথায় গাজর পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। ইচ্ছে করলে কৃষক দ্বিতীয় দফায় একই জমিতে আবারও গাজরের চাষ করতে পারেন। গাজর ক্ষেতে থাকতেই বেপারীরা কিনে নেন। এক বিঘা জমিতে ১০০ থেকে ১২০ মণ গাজর আবাদ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি গাজরের দাম এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

চাষিরা জানান, লক্ষ্মীকুন্ডা, সাহাপুর ও সলিমপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন পাইকারী ব্যবসায়ীরা ট্রাক বোঝাই করে গাজর কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ বলেন, লাভজনক ও পুষ্টিকর সবজি হওয়ায় বর্তমানে ঈশ্বরদীতে গাজরের আবাদ বাড়ছে। প্রতিবছর ঈশ্বরদীতে গাজরের আবাদ বাড়ছে। এ বছর উপজেলায় ৭২০ একর জমিতে গাজরের আবাদ হচ্ছে। রবি মৌসুম অর্থাৎ আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত গাজরের ভরা মৌসুম। সম্ভাবনাময় ও লাভজনক হওয়ায় এখানকার বেলে দোঁ-আশ মাটিতে গাজরের আবাদ বেড়ে চলছে।

তাছাড়া, শিম, বেগুন, লাউ, বরবটি, শাক, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, চিচিংগা ও ধানের পাশাপাশি গাজর আবাদ করেও এখানকার চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। দেশের অধিকাংশ এলাকায় সবজির চাহিদা ঈশ্বরদী থেকে পূরণ হচ্ছে।

জে এইচ/এস এ/এডিবি