ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে জলবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য নিষ্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন


পাবনার ঈশ্বরদীতে জলবদ্ধতা নিরসন ও কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থাকরণের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে  ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বাসিন্দারা।

রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে দাশুড়িয়ার ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সড়কের পাশে সরাইকান্দি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীকোলা, ফতেপুর, কারিগরপাড়া, দাশুড়িয়া ট্রাফিকমোড়, দরগাপাড়া, বহরপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু, নুরুল ইসলাম, কৃষক লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন, ইউপি সদস্য আলম খান, আব্দুল আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুলাডুলি ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি খায়রুজ্জামান রঞ্জন, কৃষাণী জোসনা খাতুন প্রমুখ।

এলাকাবাসীরা জানান, মুলাডুলি ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সরাইকান্দি, লক্ষ্মীকোলা, চাঁদপুর, দরগাপাড়া, কারিগরপাড়া, দেবীপুর, বহরপুর, রামচন্দ্রপুর, দাশুড়িয়া ট্রাফিকমোড় এলাকা সংলগ্ন জমিতে প্রায় তিন বছর ধরে জলাবদ্ধতা হয়ে আছে।

সরাইকান্দি এলাকায় জলাশয় ভরাট করে একটি কাগজ কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কারখানার নাম ‘রশিদ পেপার মিল।’ ২০১৭ সালে কারখানার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। কারখানা স্থাপন কাজ শুরুর পর থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি নালা থাকলেও সেটি মাটিতে ভরাট হয়ে যায়। মাটিতে নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে ওই এলাকার ফসল চাষের জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতায় চাষাবাদে অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে ৫০০ একর জমি। পাশাপাশি কাগজ কারখানাটি সম্প্রতি চালু হওয়ায় কারখানার বর্জ্য জমিতে ও পুকুর-বিলের পানিতে মিশে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় মাছ চাষও করা যায় না।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে কারখানা গড়ে তোলায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মুলাডুলি এলাকায় শত শত একর জমি জলাবদ্ধতায় অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি কৃষি বিভাগের পাবনা জেলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশা করছেন।

জে এইচ/ এস এ/এডিবি