ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে ভূয়া রিক্রুটিং অফিস থেকে ৩ প্রতারক আটক


পাবনার ঈশ্বরদীতে ভূয়া রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির অফিস খুরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শহরের সোনালী ব্যাংকের পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ‘ফাবিয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ নামে এই অফিসে অভিযান চালিয়ে ভূয়া রিক্রুটিং অ্যাজেন্ট অফিসের সন্ধান পায় পুলিশ।

পাবনার ডিবি, ঈশ্বরদী থানা ও আমবাগান ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান, আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) শহীদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টার এই অভিযানে অংশ নেন।

পরে অবৈধ অ্যাজেন্সির ওই তিন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় সিল, প্যাডসহ বিভিন্ন কাগজপত্র।

আটক তিন জন হলেন, ফাবিহা এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল উত্তরপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩২), জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত দেলবার প্রামাণিকের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৮) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাটোরের লালপুর উপজেলার দিলালপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)।

পুলিশ জানায়, ভুয়া রিক্রুটিং অ্যাজেন্সি ‘ফাবিয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশের নামকরা স্কয়ার, রবি, এয়ারটেল মোবাইল কোম্পানি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকুরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। পরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ভুক্তভোগীরা চাকুরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানান তালবাহানা করে ফিরিয়ে দিতো ফাবিয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কর্মকর্তারা। পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর বলেন, ফাবিহা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ভূয়া রিক্রুটিং অ্যাজেন্সি খুলে চাকুরি দেওয়ার নামে আটক তিন ব্যক্তি বেকার যুবকদের প্রতারণা করে আসছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, ‘বিগত তিন বছর ধরে আটক ব্যক্তিরা বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করে আসছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনেও চাকুরির বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাদের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হবে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথভাবে ওই ভূয়া প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে শত শত বেকার যুবককে প্রতারিত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। প্রতারণার অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকে পাবনা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জিএইচ/এমআইআর/এডিবি/