ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম


পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।

সোমবার (৯ আগস্ট) ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে আরও দাম কম ছিল। তখন ছিল প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। 

এভাবে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে বাজারে এসে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। 

এখানকার চাষিরা জানান, মৌসুমের শুরুতে জুন-জুলাই মাসে বাজারে কাঁচা মরিচের ভালো দাম ছিল না। মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হতো। ফলে উৎপাদন খরচ না উঠায় তাদের সে সময় লোকসানের মধ্যে পড়তে হয়। আর এ সুযোগে আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা কম দামে মরিচ কিনেন ও পরবর্তীতে তা চড়া দামে বিক্রি করে দেন।

উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের মরিচচাষি বিপুল হোসেন জানান, ঈশ্বরদীর পদ্মা চরের মরিচ কিছুদিনের মধ্যে পরিপক্ক হবে। বর্তমানে বাজারে ঈশ্বরদীর উৎপাদিত কাঁচা মরিচ নেই। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও রাজশাহীর আড়ানীর মরিচ বিক্রি হচ্ছে। ওইসব এলাকায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে হঠাৎ করে মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণ তিনি জানেন না।

তার ধারণা, বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মধ্যস্বত্বভোগী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মরিচের দাম বাড়াচ্ছেন। ফলে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে।

ঈশ্বরদী বাজারের পাইকারী ও আড়তদারদের দাবি, মোকামে কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। কোরবানি ঈদের আগে মরিচের আমদানি হলেও ঈশ্বরদীর বাইরের মরিচ কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তা ছাড়া বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে না মরিচ। পাইকারী ব্যবসায়ীরা কম দামে মরিচ কিনে তা চড়া দামে বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বাজারে মরিচের দাম বেড়েই চলেছে।

বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমিন জানান, 'ঈশ্বরদীর জমিতে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ বাজারে আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তাছাড়া দেশের অন্য এলাকা বিশেষ করে ঢাকা শহরে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেখানকার পাইকারী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে মরিচের দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, গত এক মাস ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়ে আসছিল। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেড়েছে। সোমবার ঈশ্বরদী বাজারে এক কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। 

জেএইচ/এডিবি/