ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে সরিষার বাম্পার ফলন, ভালো দামের আশায় কৃষকরা


পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ  ফসলের মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের ঢেউ। সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের আভা ফুটে উঠেছে। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরির্চ্চার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাঘ মাসের শেষ দিকে ও ফাল্গুনের শুরুতে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুরু হবে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

ঈশ্বরদী উপজলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাঁড়া, পাকশী, সলিমপুর, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি, সাহাপুর ও লক্ষ্মীকুন্ডা সাত ইউনিয়নে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭২০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে দাশুড়িয়া ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। এখানকার কৃষকেরা সাধারণত পাঁচটি জাতের সরিষা আবাদ করে থাকে। এগুলো হলো উচ্চফলনশীল সরিষা বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৫, বীনা-৯ এবং টরি-৭ জাত।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- সরিষার ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সাহাপুর ইউনিয়নের মাধপুর এলাকার কৃষক শাহীন সরদার তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন।

তিনি জানান, আমন ধান কাটার পর মাঘ, ফাল্গুন দুই মাস কোনো কিছু আবাদ না করেই ক্ষেত ফেলে রাখা হয়। ফেলে না রেখে সেই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে বাড়তি আয় করা যাবে। সরিষা আবাদে তেমন শ্রম নেই, খরচও কম। দামও পাওয়া যায় ভালো।

দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আকমল হোসেন বলেন, সরিষার আবাদ প্রতিবছর করে থাকি। দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করে যা লাভ হয়, অন্য ফসলের চাইতে অনেক বেশি। এবারও ওই দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে উৎপাদনও আরও বেশি হবে। গতবারের চাইতে এবার লাভ আরেকটু বেশিই হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার মাটি অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা চাষেও উপযোগী। এ কারণে এখানে সরিষার আবাদ দিন দিন আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় আবাদও এ বছর ভালো হবে। তিনি বলেন, উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭২০ হেক্টর জমি। জলাবদ্ধতার কারণে বাকী জমিতে কৃষকেরা সরিষা আবাদ করতে পারেনি।

সিবি / এস এস