ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে ২৮ মন্দিরে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি


বাঙালী হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর। চারদিন ধরে এ উৎসব চলবে। ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।

সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

পাবনার ঈশ্বরদী শহর ও উপজেলার সাত ইউনিয়নে দূর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। নতুন পোশাক কেনা থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়নের জন্য বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার তৈরি করা হচ্ছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। চলতি বছর ঈশ্বরদী ও উপজেলার সাত ইউনিয়নে ২৮টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ঈশ্বরদী পৌর শহর এলাকায় রয়েছে ৮টি মন্দির। সাঁড়া ৬, পাকশী ৩, সাহাপুর ২, লক্ষীকুন্ডা ২, দাশুড়িয়া ২ ও মুলাডুলি ইউনিয়নে রয়েছে ৫টি মন্দির। প্রতিটি মন্দিরে পৃথক পৃথক কমিটি পূজার আয়োজন করছে।

শহরের কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, মন্দিরে মন্দিরে আলোকবাতি, তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে। শহরের ঠাকুরবাড়ি, কর্মকার পাড়া, দড়িনারিচাসহ মন্দির সংলগ্ন সড়কগুলোতে তোরণ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল কুমার চক্রবর্তী জানান, সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ ও মন্দির কমিটির সঙ্গে এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রস্তুতিমূলক সভা থেকে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শহরের কর্মকারপাড়া মাতৃমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী মাধব চন্দ্র পাল বলেন, আমরা মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি সম্পূর্ন করেছি। সবকিছুই ভালভাবে এগুচ্ছে। পূজা উদযাপন ও বিভিন্ন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। আশা করি প্রতিবারের ন্যায় এবারও সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দীন দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, পূজায় প্রতিটি মন্দিরে পোষাকধারীদের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ঈশ্বরদীতে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার দুর্গাপূজা সাবধানতা অবলম্বন করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, উপজেলার ২৮টি পূজামন্ডবে বাড়তি নিরাপত্তাসহ পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা থাকবে।

জে এইচ/ ওয়াই এ/এডিবি