ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে ‘বারপোস্ট’ ভেঙে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা


ঈশ্বরদীতে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে উপজেলা এলজিইডির নির্মিত ‘বারপোস্ট’ ভেঙে দিয়েছে কুচক্রি মহল।

রাস্তার কাঠামো ঠিক রাখতে ও কম ওজন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অতিরিক্ত ভারী ওজনের যানবাহন চলাচলে সড়কে খানাখন্দ হওয়া ঠেকাতে লোহার পাইপের ‘বারপোস্ট’ বসিয়ে ছিল ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অফিস। সড়কে বারপোস্ট বসানো সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ পোষ্ট-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

জানা যায়, উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা, স্কুলমোড়, লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া এমপি মোড়, বিলকেদা ও সাহাপুরের বাবুলচারা সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলরোধে গত বছরের নভেম্বর মাসে লোহার পাঁচটি বারপোস্ট বসানো হয়।

গ্রামের ভেতর এসব সড়ক দিয়ে দিনরাত ২৪ ঘন্টা বালু ও মাটি ভর্তি ভারী ড্রাম ট্রাক এবং ট্রাক্টর চলাচল করে। এতে সড়কে চাপে দুইপাশ ভেঙে যায়। পরে ধীরে ধীরে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে উঠে সড়কগুলো। এ ছাড়া ওইসব ট্রাক থেকে বালু ও মাটি পড়ে সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫১টি ইটভাটা রয়েছে। ট্রাকে করে এসব ইটভাটায় মাটি ও অন্যান্য সরঞ্জাম আনা-নেওয়ায় এসব সড়ক ব্যবহার করা থাকে। ১০ ও ৬ চাকার ভারী ড্রাম ট্রাক প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টন বালু ও মাটি নিয়ে ওইসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।

উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, ১৭ টন ওজনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে ইউনিয়নের এসব সড়কগুলো তৈরি করা হয়। অথচ ট্রাকগুলো চলাচল করে দ্বিগুন ওজনের বালু-মাটি নিয়ে।

তিনি আরও জানান, এলাকার মানুষের সার্বিক সুবিধার কথা চিন্তা করে এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্রামের হালকা সড়কগুলো দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল বন্ধে পাঁচটি লোহার বারপোস্ট বসানো হয়। বারপোস্ট বসানোর পর থেকে ওই সড়কগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। কিন্তু এগুলো কে বা কারা রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলায় সড়কগুলোর কাঠামো হয়তো আর ঠিক থাকবে না।

 জে এইচ/ এস এ /ওআ