ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে ফসলি জমিতে ৫২ ইটভাটা


পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে ৫২টি ইটভাটা। ফসলের মাঠে মাঠে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ইটভাটার কারণে শত শত বিঘা কৃষি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।

গত বছরের শেষের দিকে পাবনা ও বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে চারটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে এবং কয়েকটি ইটভাটার মালিককে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হলেও বন্ধ হয়নি কার্যক্রম।

ঈশ্বরদী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও অবৈধ এসব ইটভাটা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর, দাদাপুর ও বিলকেদা গ্রামের ফসলি জমিতে অনুমোদনহীন ৫২টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৫০টি অটোফিস ও ২টি জিকজ্যাক (হাওয়া) ভাটা।

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অনিয়মভাবে দীর্ঘদিন থেকে এসব ইটভাটার মালিকেরা ইট তৈরি করে আসছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম না মেনেই কয়লার পরিবর্তে ভাটায় ব্যবহার করা হয় কাঠ। অটোফিস ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করায় কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে এলাকার গাছপালা অবাধে বিনষ্ট হচ্ছে।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গত বছর এপ্রিল মাসে অবৈধ এসব ইটভাটা উচ্ছেদ শুরু হলেও অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে মালিকরা ভাটা পরিচালনা করে আসছেন।

লক্ষ্মীকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ এ বিষয়ে আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, প্রথম দিকে এসব ভাটার মালিকরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিলেও এখন আর তারা নবায়ন করতে আসেন না। পরিষদ থেকে কোনো ছাড়পত্রও দেওয়া নেই।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, 'লক্ষ্মীকুন্ডায় অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠায় ইউনিয়নের কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে। কাঠের কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে আম, লিচু, কাঁঠাল গাছের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পরিবেশ দূষণের প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব পড়ছে।'

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বলেন, লক্ষ্মীকুন্ডায় ইটভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশ দূষণ ও কৃষি জমির ওপর প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে অনিয়মিতভাবে চলা এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জে এইচ/ এস এ/এডিবি