ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীর ৭ ইউনিয়নের ২১ কেন্দ্রে দেওয়া হবে করোনার টিকা


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবার ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৭ আগস্ট তা শুরু হবে। এরই অংশ হিসেবে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাত ইউনিয়নে ২১টি টিকাকেন্দ্র স্থাপন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খান।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে মোট ২১টি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়নভিত্তিক টিকাকেন্দ্র হবে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়নের যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন বলেও ডা. আসমা খান জানান।

আসমা খান আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনতলায় ২০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৩ জন করোনারোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে মারা যান একজন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬২ জন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ১৯ জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১১ জন।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। টিকা নেওয়ার আগ্রহও মানুষের বাড়ছে। মাঝে টিকা আসা নিয়ে সংকট তৈরি হলেও এখন তা কেটে গেছে। এখন আগ্রহীদের নিয়মিত টিকা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের পরিসংখ্যানবিদ নাজনিন আফরোজ।

তিনি জানান, গত ৭ ফেব্রয়ারি করোনার গণটিকাকরণ শুরু হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গত রবিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজ ১৭ হাজার ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ হাজার ২২১ জন। নিবন্ধন করেছেন ৩৮ হাজার মানুষ।

জেএইচ/সিবি/এডিবি/