ন্যাভিগেশন মেনু

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নিরব ঘাতক


উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে নিরব ঘাতক বলা হয়, কেননা; বছরের পর বছর এটি উপসর্গহীন থাকতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের কারণ জানা যায় না।

রক্তনালি বা ধমনীর দেওয়ালের বিপরীতে রক্ত প্রবাহের ধাক্কাকেই রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ খুব বেড়ে গেলে তা হৃদপিন্ডের কাজ অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করে।

সাধারণত ১২০/৮০ এর অধিক রক্তচাপকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। ওপরের মাত্রাটিকে সিস্টোলিক চাপ বলে, যা হৃদযন্ত্রের স্পন্দনের সময়কার রক্তচাপ। নীচের মাত্রাকে ডায়াস্টোলিক চাপ বলে যা হৃদস্পন্দনের অন্তবর্তীকালীন সময়ের রক্তচাপ; যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত এসে জমা হয়। 

এখন কথা হলো, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে কারা?

➤ যাদের রক্তচাপ ক্রমাগত স্বাভাবিক মাত্রার সামান্য ওপরে থাকে; অর্থাৎ সিস্টোলিক মাত্রা ১২০ থেকে ১৩৯ এর মধ্যে এবং ডায়াস্টোলিক মাত্রা ৮০ থেকে ৮৯ এর মধ্যে থাকলে তাকে প্রি-হাইপারটেনশন বলে। এদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হবার ঝুঁকি অনেক বেশি।

➤ গড়ে রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা এর ওপরে থাকলে কোন উপসর্গ না থাকলেও ধরে নিতে হবে, আপনি রক্তচাপে ভূগছেন।

➤ রক্তচাপের ক্ষেত্রে অসহ্য মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, নাক দিয়ে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন আপনি রক্তচাপের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

➤ ৪০-৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি নারীর চেয়ে বেশি। তবে পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব বয়সে নারী-পুরুষ উভয়েরই উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিস থাকলে বা পরিবারের অন্যদের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

করণীয়:

রক্তচাপ ১৮০/১১০ বা এর ওপরে হলে তা উচ্চ রক্তচাপের বিপজ্জনক পর্যায়, অস্থির না হয়ে এ অবস্থায় কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার রক্তচাপ মাপুন। এরপরও রক্তচাপ বেশি থাকলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। এই অবস্থা থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিয়র, জ্ঞান হারানোর মতো মারাত্মক কিছু হয়ে যেতে পারে।

সিবি /এডিবি