ন্যাভিগেশন মেনু

উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ


বিহারের পর এবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে গঙ্গার ধারে সারি সারি লাশ ভেসে আসছে। করোনায় মৃতদের লাশ এভাবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে গঙ্গার থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বিহারে গতকাল ভেসে উঠেছিল শতাধিক লাশ। খবর এনডিটিভি‘র।

সোমবার সকালে বিহার রাজ্যের বক্সার জেলায় গঙ্গা নদীতে লাশগুলো পাওয়ার পরই বিহার কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল যে, এসব মরদেহ উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে। কারণ বিহারে লাশ নদীতে ভাসানোর প্রথা নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালের দিকে গঙ্গায় ভাসতে দেখা যায় ওই দেহগুলি। তার পরই সেগুলিকে গঙ্গার ধারে তুলে এনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয়দের অনুমান, গঙ্গার উল্টো পাড়ে উত্তরপ্রদেশ, ওই দিক দিয়েই ভেসে এসেছে দেহগুলি। তাদের দাবি, এই এলাকায় একসঙ্গে এতো মানুষের মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। আপাতত জেলা প্রশাসনকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বক্সারের এসডিও কে কে উপাধ্যায় বলেন, ‘দূর থেকে ১০-১২টি মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখা গিয়েছিল। আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, বিগত ৫-৭ দিনে ধরে সেগুলি জলে ভাসছিলো। জলে দেহ ভাসানোর প্রথা আমাদের এখানে নেই। দেহগুলির সৎকারের ব্যবস্থা করছি আমরা।’

স্থানীয়রা মনে করছেন, এগুলি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এমন মানুষের দেহ। শ্মশানে পোড়ানোর স্থান নেই, কাঠের জোগান নেই তেমন, সেই কারণেই গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। সেই দেহই ভেসে আসছে পাড়ে।

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে লাশ ভেসে ওঠায় তাদের এ যুক্তি ভিত্তি পেয়েছে। করোনায় বিপর্যস্ত ভারতের নির্মম ও করুণ এই দৃশ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের জেলাশাসক এমপি সিংহ জানিয়েছেন, ‘দেহগুলি কোথা থেকে, কী ভাবে আসছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তারা বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন পতিপথ বেয়ে দেহ এসে উঠছে পাড়ে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রামাঞ্চলের শশ্মানগুলোতে কোভিড প্রতিরোধ সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মানার কোনো বালাই নেই। স্থানীয়রা সৎকারের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যাপারে শঙ্কিত। এতে করে মৃতদের পরিবার প্রিয়জনের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। 

সিবি/এডিবি/