ন্যাভিগেশন মেনু

কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক বরখাস্ত


করোনার প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার (১১ এপ্রিল) হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে এক ক্ষুদে বার্তায় হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন জানান, ছয় চিকিৎসক হাসপাতালের করোনা কেন্দ্রে সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

ক্ষুদে বার্তায় ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন জানান, হীরম্ব চন্দ্র রায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। আর ফারহানা হাসানাত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে, উর্মি পারভিন ৩১ মার্চ থেকে এবং কাওসার উল্লাহ ২১ মার্চ থেকে অনুমোদন ছাড়াই কর্মস্থলে আসছেন না।

এ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে- হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) হীরম্ব চন্দ্র রায় এবং মেডিকেল অফিসার ফারহানা হাসানাত, উর্মি পারভিন ও কাওসার উল্লাহকে।

এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) শারমিন হোসেন এবং আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মদ ফজলুল হককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মৌখিক সম্মতিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হবে।

করোনা মহামারির আকার ধারণ করলে সরকার উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালকে পুরোপুরি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যই প্রস্তুত করেছে।

করোনা ক্রান্তিকালে যে কয়েকটি হাসপাতাল শুরু থেকেই কাজ করছে উত্তরার এই হাসপাতালটি তার অন্যতম।

ওয়াই এ/এডিবি