ন্যাভিগেশন মেনু

প্রায় ৪০০ বছর পর শনি-বৃহস্পতির মহাযুগলবন্দি আজ


প্রায় ৪০০ বছর পর এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে পৃথিবীবাসী। সপ্তদশ শতাব্দীতে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিলো। শেষ বার হয়েছিল ১৬২৩ সালে। তখনও গ্যালিলিও জীবিত ছিলেন।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ৩৯৭ বছর পর সৌরজগতের দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনি যুগলবন্দি হতে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাংলাদেশে সূর্যাস্তের পর পরই খালি চোখে দেখা যাবে। যা একজন মানুষ জীবদ্দশায় একবারই দেখতে পারেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার এ খবর জানিয়েছে, টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পরেই সেই ঘটনা ঘটেছিলো। তবে সেটা ছিলো জুলাই মাস, অর্থাৎ বর্ষাকাল। তার উপর তখন সূর্যও এই দুই গ্রহের খুব কাছে ছিলো। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেঘলা আকাশ থাকায় ততোটা স্পষ্ট হয়নি। সূর্য এতো কাছে থাকায় খালি চোখে দেখা যায়নি। টেলিস্কোপের বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর। হয়ত সেসময় হতাশ হতে হয়েছিলো মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৌরজগতের দুটি গ্রহ পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসা বিরল ঘটনা নয়। বৃহস্পতি তার প্রতিবেশী গ্রহ শনির পাশ দিয়ে প্রতি ২০ বছর অন্তর যায়, তবে এতোটা কাছ দিয়ে নয়। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৬২৩ সালে।

বিজ্ঞানীরা জানান, আজ বৃহস্পতি ও শনি একে অন্যের থেকে এক ডিগ্রির ১০ ভাগের এক ভাগ কাছাকাছি থাকবে। এর ৬০ বছর পর, অর্থাৎ ২০৮০ সালে আবার এত কাছে আসবে এ দুই গ্রহ।

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, ৮০০ বছর আগে এই দুই গ্রহ এক সরলরেখায় এলেও শেষবার এতো কাছে এসেছিল ১৬২৩ সালে।

ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ওয়েইনট্রাব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা একজন মানুষ তার জীবনকালে একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘গ্রেট কনজাংশন’ বা ‘মহাসম্মিলন’ কিংবা ‘মহাযুগলবন্দি’। এই মহাজাগতিক ঘটনাকে ‘ক্রিসমাস স্টার ২০২০’ নাম দিয়েছে নাসা।

এস এ /এডিবি