ন্যাভিগেশন মেনু

উলিপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তলিয়ে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি


উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে হাতিয়া ইউনিয়নে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় আধা কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বিভিন্ন চরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও তিস্তা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন, ২০ হেক্টর জমির বীজতলা, ৪০ হেক্টর জমির শাক-সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। 

এবারের লক্ষমাত্রা ২৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত পূরণ হয়েছে ২২ হাজার ৯৯০ হেক্টর। বাকি ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমি বন্যার পানি নেমে গেলে বলাম চারার মাধ্যমে রোপণ করা হবে।

হাতিয়া ইউপি চেয়াম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এই ইউনিয়নে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০ মেট্রিকটন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এসআই/এডিবি/