ন্যাভিগেশন মেনু

ঋণের টাকা শোধ করতে না পারায় কিশোরী মেয়েকে আটকে রেখে ধর্ষণ


ঋণের টাকা শোধ করতে না পারায় বাড়ি থেকে কিশোরী মেয়েকে তুলে নিয়ে দেড়মাস যাবত আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের সদর উপজেলায়। 

বৃহস্পতিবার উপজেলার পিএমখালী ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর একটি দল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া চেয়ারম্যানপাড়ার আবদুল গনির ছেলে শাহাব উদ্দীন, তার সহযোগী পেকুয়া উজানটিয়ার আরমান হোসেন, খরুস্কুল হাটখোলাপাড়ার নুরুল আলম ও পেঁচারঘোনার লোকমান।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর)  গ্রেফতারদের কক্সবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাছাড়া, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর জুমছড়ির এক টমটম চালকের কিশোরী মেয়েকে দেড় মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ১১ অক্টোবর ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চান ওই কিশোরীর মা। ৩৫ হাজার টাকা ধার নেওয়ার পর যথাসময়ে ফেরত না দিতে পারায় টাকার পরিবর্তে টমটম চালকের মেয়েকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে পুলিশকে জানান তিনি। 

বিষয়টি কক্সবাজার মডেল থানায় জানানো হলে পুলিশের একটি দল ১১ অক্টোবর শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের খবর আগে থেকে জেনে যাওয়ায় শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে র‌্যাব-৭ গত ১৫ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।

ওই কিশোরীর মা জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী পশ্চিম জুমছড়ির ওই টমটম চালকের সঙ্গে খরুলিয়া চেয়ারম্যান পাড়ার আব্দুল গনির ছেলে শাহাবুদ্দিনের টমটম চালাতে গিয়ে সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে শাহাবুদ্দিন তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ওই কিশোরীর বাবার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় টমটম চালক শাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ধার নেন তিনি। কিন্তু সময়মতো তিনি সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এই সুযোগে শাহাবুদ্দিন লোকজন নিয়ে তার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। টাকা ফেরত না দিলে মেয়েকে আর ফেরত দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় মেম্বার ও খরুলিয়ার মেম্বার আবদুর রশীদের কাছে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেন ওই কিশোরীর মা। তাতেও মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান তিনি।

খরুলিয়ার মেম্বার আব্দুর রশিদ জানান, টমটম চালক শাহাবুদ্দিন এর আগেও নারী সংক্রান্ত ঘটনা ঘটিয়েছেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনির উল গিয়াস জানান, গ্রেফতারদের শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

এডিবি/