ন্যাভিগেশন মেনু

এএসপি আনিসুল করিম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০


রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নির্যাতনে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আনিসুল করিম নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ নভেম্বর) রাত থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ।

তিনি বলেন, এএসপি আনিসকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ব্যবস্থাপনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এছাড়াও এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনার পর তার মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলছে পুলিশ।

এদিকে আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে তার ভাই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা তাকে নিয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাকে টেনে হিচড়ে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাদের জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মিয়া বলেন, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের খাতায় লেখা রয়েছে ‘ব্রট ডেড’ অর্থাৎ সেখানে নিয়ে আসার আগেই আনিসুলের মৃত্যু হয়েছিল।

আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি স্ত্রীসহ ৩ বছর বয়সের এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুর সদরের বারুদা এলাকায়।

মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

এস এ /এডিবি