ন্যাভিগেশন মেনু

এএসপি শিপন হত্যা মামলায় ১০ জনের সাতদিনের রিমান্ড


রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ডবয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ডবয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ডবয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ডবয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ডবয় লিটন আহমদ (১৮) ও ওয়ার্ডবয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।

এএসপি আনিসকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ব্যবস্থাপনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

এর আগে আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে তার ভাই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা তাকে নিয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাকে টেনে হিচড়ে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাদের জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ জানান ‘মাইন্ড এইড হাসপাতালে এএসপি আনিসুল করিম নিহতের ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনও অনুমোদন নেই এই হাসপাতালের, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কোনও অনুমোদন নেই, চিকিৎসক নেই। কয়েকজন রোগী রয়েছে, তারা চলে যাওয়ার পর আমরা হাসপাতালটি সিলগালা করে দেবো।’

সিবি/এডিবি