ন্যাভিগেশন মেনু

এক কাপ কফির হাজারো গুণ


পানীয় হিসেবে কফির ব্যবহার শুরু ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর। নবম শতকের আগে কফি গাছ থাকলেও সে গাছের পাকা ফলটি গুঁড়ো করে গরম পানিতে গুলিয়ে খাওয়ার কথা কেউ ভাবেনি। শারীরিক অবসাদ দূর করার জন্য মোক্ষম পানীয় এই কফি। শরীর মন চাঙ্গা করতে এক কাপ গরম কফির বিকল্প নেই। কফিতে থাকা উপাদানের নাম ক্যাফেইন। ক্যাফেইন শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই খেলাধুলা কিংবা কঠিন কাজ করার আগে কফি খেলে উপকার পাবেন।

চলুন জেনে নিই কফির গুণাগুণ-

➤বুদ্ধি বৃদ্ধি করে:

কফির একটি মনস্তাত্ত্বিক উদ্দীপক রয়েছে যা মানসিক শক্তি, মেজাজ উন্নত করার ক্ষমতা রাখে। এভাবে আপনাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমান ও স্মার্ট করে তোলে।

➤হৃদরোগ প্রতিরোধ:

হৃদযন্ত্রের প্রদাহ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।  

➤ডায়াবেটিস এড়াতে:

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে।

➤ক্ষুধা হ্রাস:

কফি পানে আমাদের খাবার গ্রহণের আগ্রহ কমিয়ে দেয় ও দীর্ঘসময় কর্মশক্তি দিয়ে ক্লান্তি দূর করে। এজন্য আমরা যখন ওজন কমাতে ডায়েট করি তখন কফি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

➤চোখের জন্যও ভালো:

কফি পানে আমাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। 

➤মাইগ্রেন:

২-৩ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করলে মাইগ্রেন ব্যথা দ্রুত কমতে সাহায্য করে।

➤স্মৃতিশক্তি বাড়ে:

বয়স বাড়লে আমাদের মস্তিস্কের দক্ষতা হ্রাস পায়।  মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে সকালে ব্ল্যাক কফি পান করতে হবে। এতে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ও কার্যকারিতা বাড়বে। 

➤ব্যায়ামের সময় পারফরম্যান্স উন্নত করে:

ব্ল্যাক কফির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি আপনার শারীরিক পারফরম্যান্সকে দারুণভাবে উন্নত করে এবং একটি ওয়ার্কআউট করার সময় শতভাগ অ্যাক্টিভ থাকতে সহায়তা করে। এই কারণেই জিমের প্রশিক্ষকরা ব্যায়াম করতে আসার আগে ব্ল্যাক কফি খেতে বলেন। 

➤লিভারের জন্য উপকারি:

লিভার আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জানেন কী; আপনার লিভার ব্ল্যাক কফি পছন্দ করে? ব্ল্যাক কফি লিভারের ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং অ্যালকোহলিক সিরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

সিবি/এডিবি