ন্যাভিগেশন মেনু

এক হাজার স্টার্টআপ তৈরিতে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার


দেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ২০২১ সালের মধ্যে এক হাজার স্টার্টআপ বা উদ্যোগকে বড় আকারে কার্যক্রম শুরু করতে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিআইজি) গঠন করছি, যেখান থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে এক হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে অর্থ সহায়তা করবে সরকার।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেছেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘হান্ড্রেড প্লাস’ নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ।

এর আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একশ স্টার্টআপকে তহবিল প্রদানের বিষয়টি।

তিনি আরো বলেছেন, আমরা দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বর্তমানে আমাদের দেশে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

যারা হোমগ্রাউন্ড সল্যুশন পণ্য তৈরি করছে, তাদের আমরা ফান্ড দিতে পারি, হাইটেক পার্কে জায়গা দিতে পারি।

প্রদর্শনীর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানকে বাড়িয়ে নেয়ার জন্য নানা সেমিনারের আয়োজন করা হবে। থাকবে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ।

‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে এবারের প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য প্রদর্শন করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিতে সক্ষমতা প্রদর্শনে এখনকার তরুণরাই হবে ভবিষ্যত অগ্রদূত।

উন্নয়নশীল দেশ থেকে আমরা নিজেদের উন্নত দেশের বাসিন্দা হিসেবে শিগগিরই দাবি করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেছেন, প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করছে, তাদের জন্য থাকবে আলাদা জোন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোনো স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করছি।

প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করে আমরাও উন্নতির মহাসড়কে অগ্রসরমান।

এছাড়া তিনদিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিনামূল্যে এই প্রদর্শনীতে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও অনলাইনে নিবন্ধন বা স্পট রেজিস্ট্রেশন করে প্রবেশ করতে হবে।

বাংলাদেশে রোবটিক্সের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সব কাজ রোবট করবে, বিষয়টি এমন নয়। রোবটিক্স খাতে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডিজাইনিং, ইলেকট্রনিকস, আইওটি সবই লাগে। ফলে দেশে রোবটের প্রসার ঘটলেও অনেকের কর্মসংস্থান হবে, সবাই বেকার হয়ে যাবে না।

প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করছে আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা সবাই মেড ইন বাংলাদেশের পক্ষে। যে এক্সপো হবে, সেখানে শুধু বাংলাদেশের পণ্যই থাকবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।

এ সময় প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি ও আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক। প্রদর্শনীর পরিকল্পনা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে সম্যক ধারণা দেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

দেশে প্রথমবারের মতো দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যে নিয়ে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অক্টোবর মাসে। ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই প্রদর্শনী চলবে।

এস এ / এস এস