ন্যাভিগেশন মেনু

এডিস মশার বিরুদ্ধে ‘চিরুনি অভিযান’শুরু


এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা বাস্তবায়ন কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ রাজধানীর গুলশানস্থ ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিশেষ এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হবে। প্রতিদিন ১টি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে।

এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে জানানোর পর তারা এটার প্রশংসা করেছে। তবে এমন কার্যক্রম দীর্ঘস্থায়ী হবে যদি স্থানীয় জনগণ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। তারা এগিয়ে না আসলে আমরা যত যাই করি না কেন, কোনো উদ্যোগই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

‘১০ দিনের প্রথম ৭ দিন আমরা কাজ করব। কোথাও গিয়ে লার্ভা পেলে আমরা স্টিকার লাগিয়ে দেব। এরপর তারা নিজেদের শুধরে নেবেন। যদি শুধরে না নেন, তাহলে তিন দিন পর গিয়ে আমরা জরিমানা করব। দুইটি ভবনের মাঝের জায়গা পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের না। আর ভবন মালিকেরা এগিয়ে না আসলে সেটি আমাদের পক্ষে সম্ভব ও হবে না।’

ভবন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আতিক বলেন, আমাদের কর্মীরা আপনাদের ভবনে যাবেন। তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিন। কোথাও কোথাও পরিষ্কার করতে গেলে, ওষুধ দিতে গেলে আমাদের কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা ঠিক না। আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যথাযথ পরিচয়পত্র থাকে। সেগুলো দেখে তাদেরকে প্রবেশ করতে দিন।’

উদ্বোধন কালে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এর জন্মস্থান ধ্বংস করে দিতে হবে। আর নিজেদেরও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল ধ্বংস ও পরিচ্ছন্নতা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমাদেরকেই করে যেতে হবে।

চিরুনি অভিযান কার্যক্রমের পর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র পার্ক ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় তার সঙ্গে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমআইআর