ন্যাভিগেশন মেনু

এফএটিএফ’র চাপ উড়িয়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সক্রিয়


পাকিস্তানের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জয়শ-ই-মোহাম্মদ এবং জামায়াত-উ-দাওয়ার জন্য গত  সেপ্টেম্বর মাসটি ছিল খুব সক্রিয় মাস । তাদের অ্যাকাউন্টগুলি বাস্তবে হিমায়িত হওয়া সত্ত্বেও এবং সরকার এফএটিএফ প্রয়োজনীয়তা পূরণে এবং আন্তর্জাতিক মানের স্তরে মেনে চলার লক্ষ্যে বিলুপ্তভাবে বিল পাস এবং আইন সংশোধন করেও তহবিলের অভাবে  সন্ত্রাসী সংস্থাগুলি বন্ধ হয়েছিল বলে মনে করা হলেও তা আসলেই সমৃদ্ধ ও সক্রিয় ছিল ।

তাদের কর্মকাণ্ড ছায়ায় নয়, পানির নীচে নয়, বরং বেশ খোলাখুলি ছিল। গত  আগস্ট মাসের শেষ থেকে লাহোরে, যেখানে জামায়াত-উদ-দাওয়া, তাদের রাজনৈতিক শাখা মিলি মুসলিম লীগ সহ বেশ কয়েকটি সেমিনার আয়োজন করেছিল। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল,  ৫ সেপ্টেম্বর, মারকাজ আল-রিজওয়ান আহলে হাদিসে, বিজলী ঘর, শালিমার শহরে সম্মেলনে অন্যানের  মধ্যে জিউডি নেতা মাওলানা মনজুর আহমদ বক্তব্য রেখেছিলেন।

সম্মেলনে মানুষকে যোগদান করতে  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল এবং সংগঠকদের ফোন নম্বরগুলি প্রকাশ্যে সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে, টুইটার ব্যবহারকারী জেনারেল জেনারেল আসিফ গাফফরের এসব স্মরণে থাকার কারনে সেনাবাহিনী বা সরকারের কেউই আর সোশ্যাল মিডিয়া পরীক্ষা করেনি না। এফএটিএফ পরিদর্শকগণ কয়েকদিন পরে সংশ্লিষ্টদের নজরে আনেন।

ধর্মীয় ব্যানারে তারা সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিল। মারকাজি জামিয়াত আহলে হাদীস (জেএএইচ) এবং আহলে হাদিস যুব বাহিনী (এএইচওয়াইফ)    আয়োজনে  সম্মেলনটি ২২ সেপ্টেম্বর মারিয়াক ঈদগাহ আহলে হাদিস, শাহাবপুরা, জেলা শিয়ালকোটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনটিতে  অন্যদের মধ্যে মওলানা মুহাম্মদ বক্তব্য রাখেন বিন ইয়ামিন আবিদ। তিনি  জামাত-উদ-দাওয়ার কেন্দ্রীয় নেতা।

একই দিন, লাহোরে জমিয়তে আহলে হাদীসও  ধর্মীয় ব্যানারে  সম্মেলনের ঘোষণা দেয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন  জূদ নেতা আমির হামজা, হাফিজ সাইফুল্লাহ খালিদ এবং মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইয়ামিন আবিদ (কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ), মাওলানা মনজুর আহমদ (ইউইউডি-গুজরানওয়ালা), মুহাম্মদ হানিফ রাব্বানী ও মাওলানা তারিক মেহমুদ ইয়াজদানি (জুড-গুজরাত)।

জিউডের একই মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইয়ামিন আবিদ শিয়ালকোটের জামেয়া মসজিদ মুহাম্মাদিয়া আহলে হাদিসে মারকাজী জমিয়তে আহলে হাদীস আয়োজিত কিছুদিন আগে আরেকটি সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয়দের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।  সেদিন দেশের রাস্তায় ফরাসী পতাকা জ্বালানো ছাড়াও আরও অনেক কিছু হয়েছিলো।

ওমা/ এস এস