ন্যাভিগেশন মেনু

এবার ঈদুল আযহায় মসলা বাজার মন্দা


নিজস্ব প্রতিবেদক: সব সময় ঈদের আগে বাজার মাতিয়ে রাখলেও এবার করোনাকালে বড় এই উৎসবের আগে গরম মসলার বাজার ঠান্ডা। তবে বিক্রিতে ভাটা পড়লেও অন্যবারের মতো এবারও দাম বেড়েছে বিভিন্ন মসলার।

বাংলাদেশে ঈদসহ যে কোনো উৎসবকে ঘিরে পণ্যের দাম বাড়ানো অনেকটা ব্যবসায়ীদের একটা রেওয়াজে পরিণত। কোরবানি ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে এবার অনেকেই কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। ফলে বাজারে মসলার চাহিদাও কম।

রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহ থেকেই মসলার বাজারে দাম বাড়তে শুরু করে। 

কোনো কোনো মসলার ক্ষেত্রে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে পাঁচশো টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকার পরও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সদুত্তরও নেই ব্যবসায়ীদের।

‘মসলার দাম এই সময়ে তো এমনিই বাড়ে। এবারও বাড়ছে। কিন্তু মসলার যে কাস্টমার থাকার কথা, সেটা নাই। এবার মসলা কম বিক্রির সম্ভবনা বেশি। একই অবস্থা কৃষি মার্কেট খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে স্বাভাবিক হারেই বিক্রি হচ্ছে মসলা। ঈদের বিক্রি শুরু হয়নি। প্রতি বছরের মতো ঈদের আগে যে পরিমাণ মসলা বিক্রি হয়, এবার তা না হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এই বাজারের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কিছু পারমানেন্ট কাস্টমার আছে। এবার নাকি তাদের অনেকেই কোরবানি দিবে না। তাই তারা ঈদের আগে যে মসলা কিনত, এবার তাও কিনছে না।‘

একই অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে। মিরপুর রূপনগর এলাকার ব্যবসায়ী দ্বীন ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজকে মাসের ১১ তারিখ। ঈদের আগে মানুষের হাতে বেতন আসার সময় এখন। 

কিন্তু এবার মসলার দিকে কারো নজর নাই। আসলে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আগ্রহ অনেক দিকেই কম।’

বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচির দাম কেজিতে দুই থেকে তিনশো টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে এলাচি বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার কেজি দরে। খুচরা বাজারে এলাচির কেজি সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে সাড়ে চার থেকে পাঁচশো টাকায়। লবঙ্গ পাইকারিতে সাড়ে সাতশো থেকে ৮০০ টাকা। খুচরা বাজারে হাজার টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১৪০ টাকা, হলুদ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এস এস