ন্যাভিগেশন মেনু

এবার জম্মুতে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযান


ভারতের জম্মুতে বসবাসকারী কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তল্লাশি অভিযান ও ধরপাকড় শুরু করেছে।

উপযুক্ত পরিচয়পত্র নেই, এই অভিযোগে প্রায় পৌনে দু'শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে তারা হীরানগরের বন্দী শিবিরে আটক করার পর অনেক রোহিঙ্গা শিশুই বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জম্মুর রোহিঙ্গারা দলে দলে এখন দিল্লিতে এসে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে ধরনায় বসারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে দিল্লির একটি রোহিঙ্গা শিবিরেও সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর রাজধানীর রোহিঙ্গাদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বস্তুত গোটা ভারতে যে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে বলে ধারণা করা হয়, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশই থাকেন জম্মু শহর ও তার আশেপাশের নানা বস্তিতে।

রোহিঙ্গারা সেখানে দিনমজুরি করেন, মাছ ধরেন বা অটো চালিয়ে পেট চালান, জম্মুতে তাদের একটি 'বার্মা মার্কেট'-ও গড়ে উঠেছে।

এদের মধ্যে অনেকেই দশ বা বিশ বছর ধরে জম্মুতে আছেন, কিন্তু গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গাদের জম্মু থেকে তাড়ানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলন শুরু করেছেন।

রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরও তাতে প্রবল সমর্থন আছে, বিজেপি নেতারাও সেখানে 'রোহিঙ্গা খেদাও'য়ের ডাক দিচ্ছেন। এই পটভূমিতেই জম্মু পুলিশ গত শনিবার সকালে রোহিঙ্গা কলোনিতে গিয়ে হুকুম দেয় তাদের সবাইকে স্থানীয় মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে তখনই হাজিরা দিতে হবে এবং সেখানে তাদের পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

রোহিঙ্গা কলোনির মহম্মদ সুলেমান বলেন, ভেরিফিকেশনের পর আমরা যে আড়াইশোর মতো লোক গিয়েছিলাম তার মধ্যে ১৫৫ জনকেই পুলিশ আটক করে সাম্বা জেলে ঢুকিয়ে দেয়। কারও মা, কারও বাবাকে জেলে যেতে হয়, অথচ বাচ্চারা রয়ে যায় বাইরেই।

আটকদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল তারা জাল নথি দিয়ে ভারতের পরিচয়পত্র বা আধার কার্ড জোগাড় করেছেন।

জম্মুর রোহিঙ্গা জাফর বলেন, আমাদের কাছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্র ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনও কার্ড নেই। আমাদের মধ্যে দু-একজন আধার কার্ড বানিয়ে থাকলেও তারা হয়তো ভুল করে করেছে।

এস এস