ন্যাভিগেশন মেনু

এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দেবে মঙ্গলবার


সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দর জেটিতে কার্গো খালাস সম্পন্ন হয়েছে। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে চুনাপাথরের চালান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করবে মঙ্গলবার সকালে (৩০ এপ্রিল)। জাহাজটির মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে চুনা পাথরের চালান নিয়ে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করবে এমভি আবদুল্লাহ। মে মাসের ১০ তারিখের পরে জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। সকল নাবিকরা সুস্থ আছেন। জাহাজটি মাতারবাড়ি জেটিতে নোঙর করার কথা রয়েছে।'

গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়।  

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। গত ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি কবির গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এই ধরনের মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে  ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান ওই জাহাজটি।