ন্যাভিগেশন মেনু

যৌনতা আর কমেডির মিশেলে ‘ইন্দু কি জওয়ানি’


ছবির পরিচালক আবির সেনগুপ্ত, অর্থাৎ তিনি বাঙালি। তাঁর ‘কমেডি’ ছবি ‘ইন্দু কি জওয়ানি’র  কোথাও বাংলা কমেডির ছিটে ফোঁটা নেই। পাক্কা বলিউডি স্টাইলের শরীর গরম করার রসদ নিয়ে মন ঠান্ডা করা একটি ‘ছবি’ বানিয়েছেন তিনি।

সুন্দর সেক্সি কমেডি হয়ে ওঠার পুরো রসদ ছিল তাঁর হাতে, কিন্তু আবির বানিয়ে ফেললেন আধখ্যাঁচড়া সেক্স আর দেশপ্রেম নিয়ে এক আলুবখরা। সুন্দরী তরুণী ইন্দিরা (ইন্দু) শুধু কলেজের সহপাঠীদের ‘dil তোড়া’ মস্ত মাল নয়, প্রতিবেশী আধবুড়োদেরও শরীর উচাটন করে দেয়! 

প্রেমিক (যাঁকে বলা হয় bf), না অন্য অর্থ করবেন না প্লিজ, ইন্দুকে ‘লেঙ্গী’ মারলে বান্ধবী সোনাল পরামর্শ দেয়া দিনদার-এ একাউন্ট খুলে ওয়ান নাইট অ্যাফেয়ার করতে। এটাই নাকি এখনকার ইস্টাইল! একরাতেই “ঝান্ডা গার দেনেকা কাম করলো, সব পটাক জয়েগা।” সেই বন্ধুর উপদেশ শুনে উসখুস করা ইন্দু ঘরে ডেকে আনে সমর নামের এক ‘দিনদার’ বন্ধুকে।

মা বাবা ও ভাই গিয়েছে দিল্লি, ইন্দু বাড়িতে একা। ব্যস, বন্ধুর উপদেশ “ঝান্ডা গার্নেকা আইসা মৌকা অউর কব মিলেগা।” সুতরাং ‘পাকিস্তানি’ সমর ঢুকে পড়ে ইন্দুর ঘরে। এবার আবিরের চিত্রনাট্য ঘেঁটে একেবারে ‘ঘ’ যাকে বলে! 

একলা লরকি তো খোলি তিজোড়ি হোতা হ্যায় – সুতরাং হাসির নামে ভাঁড়ামো শুধু নয়, সেক্স নিয়েও নিরামিষ এক রান্নার বন্দোবস্ত! এরই মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হল এক পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে ছদ্মবেশে। 

ইন্দু আর সমর “ঝান্ডা গাড়ার” বদলে ব্যস্ত থাকল ইন্ডিয়া পাকিস্তান নিয়ে সাপ লুডো খেলায়। আবির এই “ঝান্ডা গারা” ব্যাপারটা নিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারলেন না, ছবিটা হয়ে গেল আলুনি বিরিয়ানি!

ইন্দুর চরিত্রে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন বটে কিয়ারা আদভানি। ! তাঁর ছিপছিপে শরীরের “ইয়ে” আবেদনটি ক্যামেরার সামনে খুলে দিতে আগল রাখেননি। ওঁকে দেখার জন্যই একবার ‘ইন্দু কী জওয়ানি’ দেখা যায়। আদিত্য শীল হয়েছেন সমর। কিন্তু তাঁর শুধু সিক্স প্যাক আছে, অভিনয় নেই। কিয়ারার সামনে তিনি পাথর যেন। পুরো শোটাই শুষে নেন কিয়ারা। গান ও নাচের তেমন কোনও কম্ম নেই চিত্রনাট্যের, একমাত্র ‘রবনে তুম কেয়া বনায়া’ গানটার সঙ্গে ‘কাশ্মীর কী কলি’র দৃশ্য জুড়ে দেওয়া ছাড়া।

আসলে, আমাদের সংস্কৃতির দারওয়ান সেন্সর বোর্ডের গাইডলাইন মেনে মজারু সেক্সি কমেডি বানানো এদেশে সম্ভব নয়। আবির বেচারা কী আর করবেন! এমন চেষ্টা না করলে 

এস এস