ন্যাভিগেশন মেনু

কক্সবাজারের ৫ সাংবাদিক পেলেন মানবিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিপোর্টিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার


স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত কক্সবাজারের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত মানবিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিপোর্টিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হলো বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট)।

কক্সবাজার শহরে বিচ ওয়ে হোটেলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীরা হলেন দৈনিক আজাদের আহমেদ গিয়াস, বাংলাদেশ পোস্টের সারোয়ার আজম মানিক, নাগরিক টিভির মনোতোষ বেদজ্ঞ, আজকের দেশ-বিদেশের দীপক শর্মা দীপু এবং জাগোনিউজের সায়ীদ আলমগীর।

ইউএসএআইডি’র ‘জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি’ বা ইএফএসপি’র পক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এক্সপোজার কমিউনিকেশন। এতে অংশ নেন মোট ২৪ জন সাংবাদিক। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইস রেসপন্স (বিআরসিআর)ইএফএসপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন বিআরসিআর’র রেসপন্স ডিরেক্টর ফ্রেডেরিক ক্রিস্টোফার, কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান (শিহাব) এবং ইএফএসপি’র চিফ অব পার্টি মো. রজব আলী। পুরস্কারের মধ্যে ছিল নগদ অর্থ, একটি করে ক্রেস্ট ও সনদপত্র।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক, ডিউক সব্যসাচী, জর্জ সরকার ও ডাক্তার কবীর উদ্দিন আহমেদ এবং এক্সপোজার কমিউনিকেশন ক্রিয়েটিভ ডিভিশনের প্রধান মাজেদ চৌধুরী।

‘জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি’র পাঁচটি কার্যক্রমের প্রত্যেকটির জন্য একজন বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। কার্যক্রমগুলো হলো কাজের বিনিময়ে অর্থ (Cash for Work), জীবিকা (Livelihood), আয়বর্ধন কার্যক্রম (Income Generating Activities), লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে পুরুষের সম্পৃক্ততা (Male Engagement in Prevention of Gender-based Violence), এবং পুষ্টি (Nutrition)। 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের প্রথমে মানবিক সাংবাদিকতা বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপর তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের প্রকল্প এলাকা সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তোফায়েল আহমেদ এমন আরও এবং আরও বৃহৎ পরিসেরে কক্সবাজারের সাংবাদিকের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনজিও) প্রতি আহ্বান জানান।

ফ্রেডেরিক ক্রিস্টোফার বলেন, প্রতিযোগিতায় যে সব সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন তাদের রিপোর্ট ওয়ার্ল্ড ভিশন যেসব দেশে কাজ করে, তার সবখানে পৌঁছে গেছে। তিনি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের জন্য আরও প্রশিক্ষণের আয়োজন করার ঘোষণা দেন।