ন্যাভিগেশন মেনু

কবি সুকান্তর ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


বিদ্রোহ ও কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ১৩ মে। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সুকান্তকে বলা হয় গণমানুষের কবি। অসহায়-নিপীড়িত সর্বহারা মানুষের সুখ, দুঃখ তার কবিতার প্রধান বিষয়। অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ের স্বার্থে ধনী মহাজন অত্যাচারী প্রভুদের বিরুদ্ধে নজরুলের মতো সুকান্তও ছিলেন সক্রিয়। যাবতীয় শোষণ-বঞ্চনার বিপক্ষে সুকান্তের ছিল দৃঢ় অবস্থান।

এই বিদ্রোহ ও কিশোর কবি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার যাদবপুর ১১৯ লাউডন স্ট্রিটের রেড অ্যান্ড কিওর হোমে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করেন।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা এ বছর বড় পরিসরে কবি সুকান্তের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারবোনা। তবে আমরা  স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবো।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরতে হলে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা উচিৎ।

১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তার মাতামহের বাড়ি কলকাতার কালীঘাটের ৪৩,মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্রাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী। এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম। বেলেঘাটা দেশবন্ধু স্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।

আট-নয় বছর বয়স থেকেই সুকান্ত লিখতে শুরু করেন। স্কুলের হাতে লেখা পত্রিকা ‘সঞ্চয়ে’ একটি ছোট্ট হাসির গল্প লিখে আত্মপ্রকাশ করেন। তার কিছু দিন পর বিজন গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘শিখা’ কাগজে প্রথম ছাপার মুখ দেখে তার লেখা বিবেকান্দের জীবনী।

ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উলে¬খ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

সিবি/এডিবি