ন্যাভিগেশন মেনু

কমলগঞ্জে ৩ জাতের তরমুজ চাষে সফল আব্দুল মতিন


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন পরীক্ষামুলকভাবে একই মাঠে তিন জাতের গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লাল তীরের সার্বিক সহযোগিতায় তার সাফল্য দেখে কৃষি বিভাগই বিস্মিত।

হাইব্রিড এই তরমুজ এলাকার অনান্য কৃষকদের মধ্যেও সাড়া জাগিয়েছে। আব্দুল মতিনের এ বাম্পার ফলনে উচ্চ ফলনশীল তরমুজ বীজ জেলার অনান্য উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

পাত্রখোলা এলাকায় কৃষক আব্দুল মতিনের তরমুজ মাঠে দেখা যায়, একই মাঠে কালো ,হলুদ এবং সবুজ ডোরাকাটা রংয়ের তিন জাতের তরমুজ। জাতগুলো হলো  ব্ল্যাক বেবি, মধুমালা ও  ল্যন ফাই। দুটি জাতের তরমুজের ভেতরের অংশ লাল আর একটি জাতের ভেতরে হলুদ রং।

এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল মতিন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'তার দুই বিঘা জমিতে এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তিন জাতের মধ্যে হলুদ রঙের লাল তীরের হাইব্রিড ল্যন ফাই জাতটি সর্বাধিক ফলন হয়েছে। ফলের ওজন এবং আকার সবাইকে আকর্ষণ করেছে। শুধু আকার নয় এর স্বাদও অসাধারণ। মধুর মতো মিষ্টি। বাজারে এর দরও ভালো।'

তিনি আরও জানান, এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত  বিক্রি করেছেন দুই লাখ বিশ হাজার টাকার মতো। মাঠে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে এতে আরও তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

আব্দুল মতিন জানান, 'ল্যন ফাই জাতটির ফলন অন্য তরমুজের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি এবং ফলের ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি এবং মিষ্টিও অন্য জাতের চেয়ে অনেক বেশি। তাই আগামীতে তিনি এই জাতের তরমুজ বেশি চাষ করবেন। ফলন দেখতে তার জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় আশপাশের কৃষকরা। তারাও আগামীতে এ জাতের তরমুজের চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।'

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, 'পাত্রখোলা তরমুজ প্রদর্শনীতে তিন জাতের বীজ লাগানো হয়েছে। এরমধ্যে অধিক ফলন ও মিষ্টতার দিক থেকে হাইব্রিড ল্যন ফাই জাতটির ফলন খুবই ভালো হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলাতে এই জাতগুলোর চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষকরা যাতে উচ্চমূল্যের ফল এবং সবজি চাষ করে অধিক লাভবান হয় সে লক্ষে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।'

পিডি/সিবি/এডিবি/