ন্যাভিগেশন মেনু

কম ঘুম আয়ু কমিয়ে দেয়


সবারই জানা ঘুম কম হওয়া মানে বড় রোগের লক্ষণ। অর্থাৎ ঘুমের সাথে সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গবেষণায় প্রমাণিত, ঘুম কম হলে তা জীবনের আয়ু কমিয়ে দেয়। ২০১৫ সালে ম্যাক্স রিখটার নামে একজন কম্পোজার নানা গবেষণার পর ৮ ঘণ্টার সঙ্গীত রচনা করেছেন শুধু ভালো ঘুমের জন্য।

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, রাত-জাগা লোকদের 'দেহ-ঘড়ি'কে আগেভাগে ঘুমানোর জন্য তৈরি করা যায়। তবে ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ ক্যাফেইন শরীরে অন্তত ৯ ঘণ্টা থাকে। কাজেই ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো 'ফিজি ড্রিংকস' পান বাদ দিতে হবে।

এছাড়াও অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলেও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। ঘুমের প্রায় তিন-চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে জেগে ওঠার সমস্যা কেটে যাবে।

অন্যদিকে, অ্যালকোহল বা মদ্যপান আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে আপাতদৃষ্টিতে সাহায্য করলেও সেই ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বা গভীর হবে না। যাকে বলে 'র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট' বা 'আরইএম স্লিপ।' অগভীর ঘুমে মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না। যদি রেডিওতে কিছু শোনেন তাহলে স্লিপ টাইমার ব্যবহার করুন যেন এটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।

অপরিণত ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন রাতে যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়।

এস এস