ভারতে কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি) উন্মুক্ত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন।
সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন এই করোনা প্রতিরোধী ওষুটি আবিষ্কারের জন্য ডিআরডিও এবং ডা. রেড্ডি'স ল্যাব-এর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের এক বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল এই ওষুধ। করোনাভাইরাস বৃদ্ধি রোধে এই ওষুধটির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
ড্রাগটি তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। ওষুধটি সম্প্রতি ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
২-ডিজি এক ধরনের থেরাপিউটিক প্রয়োগ যা কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে এই ওষুধ। উপসর্গ কমাতেও সাহায্য করে এটি।
২-ডিজি দিয়ে যাদের চিকিৎসা করা হয়েছে, তাদের অক্সিজেন নির্ভরতা কমেছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
এই ওষুধ আসবে প্যাকেটে, পাউডারের আকারে। যা পানিতে গুলে খেতে হবে। মানুষের শরীরে ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, বৃদ্ধি হওয়া আটকায় এই ওষুধ। তাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২-ডিজি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে দেখেছিলেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করছে এটি। গত বছরের অক্টোবরে এর দ্বিতীয় দফা ট্রায়াল চালানো হয় মোট ১৭টি হাসপাতালে। এতে সাফল্য আসতেই গত বছর ডিসেম্বর থেকে এ বছর মার্চ পর্যন্ত চলে তৃতীয় ট্রায়াল।
দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর মোট ২৭টি কোভিড হাসপাতালে চলেছে তৃতীয় ট্রায়ালের কাজ। ট্রায়ালের বিস্তারিত রিপোর্ট ডিসিজিআই-এর কাছে জমা দেওয়ার পর জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন মেলে।
এডিবি/
