ন্যাভিগেশন মেনু

করোনায় ভারতের প্রথম মহিলা কার্ডিওলজিস্টের মৃত্যু


করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো ভারতের প্রথম মহিলা কার্ডিওলজিস্ট ডা. এস আই পদ্মাবতীর। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে করোনা তার অমূল্য প্রাণ কেড়ে নেয়। গত ১১ দিন আগে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে তাকে ভরতি করা হয়েছিল। 

ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের সিইও ডা. ও পি যাদব জানিয়েছেন, দুটি ফুসফুসেই গুরুতর সংক্রমণ হয়েছিল ডা. পদ্মাবতীর। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। 

করোনা সংক্রমিত হওয়ার আগে পর্যন্তও সক্রিয় এবং সুস্থ জীবন কাটিয়েছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা কার্ডিওলজিস্ট।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৫ সাল পর্যন্ত দিনে ১২ ঘন্টা কাজ করতেন এই কিংবদন্তী চিকিত্‍সক। ১৯৮১ সালে তার হাতেই গড়ে ওঠে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট। সেখানেই সপ্তাহে পাঁচদিন রোগী দেখতেন তিনি।

ডা. পদ্মাবতী চিকিত্‍সক মহলে ‘গ্র্যান্ডমাদার অব কার্ডিওলজি’ নামে খ্যাত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তার হাত ধরেই উত্তর ভারতের প্রথম কার্ডিয়াক ক্যাথেটেরাইজেশন ল্যাবরেটরি তৈরি হয় লেডি হার্ডিং মেডিকেল কলেজে।

১৯৬৭ সালে মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের ডিরেক্টর-প্রিন্সিপালের দায়িত্ব হাতে তুলে দেওয়া হয় ডা. এস আই পদ্মাবতীর। এখানেই তিনি দেশের প্রথম কার্ডিওলজির ডিএম কোর্স চালু করেন। এখানেই পথ চলা শুরু ভারতের প্রথম করোনারি কেয়ার ইউনিট এবং করোনারি কেয়ার ভ্যানের। 

১৯৬২ সালে ডা. এস আই পদ্মাবতী প্রতিষ্ঠা করেন অল ইন্ডিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন। 

চিকিত্‍সা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৭ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৯২ সালে তাকে পদ্মবিভূষণ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

এডিবি/