ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাভাইরাসে ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা


সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে হুমকির মুখে। চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে বর্তমানে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

মানববাহী এই রোগ গ্রাস করছে মানুষের প্রাণ। এই ভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ১১ জন। আরও ১ লাখ ১৪ হাজার ২১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় ৪৫ জন। এমতাবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

চিন, ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া দেশেগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকার কারণে ভিসাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে ভ্রমণকারীদের উপর জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে ভ্রমনে। চিন থেকে কোনো পর্যটকদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ভ্রমকারীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হচ্ছে।

আপনি যদি ভ্রমনকারী হন; তাহলে আপনাকে এই ভাইরাসটির সম্পর্কে যথাযথভাবে এর লক্ষন, সতর্কতা ও প্রতিকার সম্বন্ধে জানতে হবে। যেসব দেশে এই ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়েছে সেসব দেশে ছাড়াও  অন্যান্য দেশেগুলোতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষন-

১। ঠান্ডা লাগার মতো হয়ে শুরু হয়ে প্রথমে সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা এবং ফুসফুসে সংক্রমিত হয় বিধায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

২। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়।

৩। এই ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষন দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন লাগে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। 

করোনা ভাইরাসের এখনো কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই আক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া বেশি জরুরি।

ভ্রমণকারীরা যে সব সতর্কতা অবলম্বন করবেন-

১। ঘন ঘন সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধোয়া। হাঁচি/কাশি হলে টিস্যু বা হাত দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে এবং টিস্যুটি ঢাকনাযুক্ত বিনে ফেলে দিতে হবে ও হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

২। জ্বর, সর্দি, কাশি হয়েছে এমন লোক থেকে দূরে থাকতে হবে।

৩। কাঁচা প্রাণিজ খাবার গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

৪। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৫। সংক্রমিত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সরাসরি স্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

৬। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সর্বদা ব্যবহার করতে হবে।

৭। কোলাকুলি বা করমর্দন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাখ, চোখ, মুখ স্পর্শ করা যাবে না।

৯। মানুষের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 

১০।  করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে  আসা ভ্রমণকারীর সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এসএম/এডিবি/