ন্যাভিগেশন মেনু

করোনারোগীর অক্সিজেনের চাহিদা কমাতে নয়া ওষুধ


ভারতে করোনা অতিমারিতে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ। এই অবস্থায় অক্সিজেন দিয়ে দেশটিকে সহায়তা করেছে তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো। তারপরও অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে পারেনি। অবশেষে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) তৈরি নয়া ওষুধ ২-ডিজি অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার।

গত শনিবার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেয়েছে এই ওষুধটি। করোনা আক্রান্ত রোগীর অক্সিজেন নির্ভরতা কমাতে ও দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে এই 2-deoxy-D-glucose (2-DG)।

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে দেশে তুঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে এই ওষুধটি যেন এক চিলতে আশার আলো। 

গবেষকরা জানান, করোনা রোগীর দেহে অক্সিজেনের চাহিদা হ্রাস করতে সক্ষম এই ওষুধ। ফলে, অক্সিজেন সংকটের মাঝে এই ওষুধটি যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা বলাই যায়। তবে, ওষুধটি বাজারে আসতে আরও মাসখানেকের সময় লাগবে।

এখনও পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে ট্রায়াল হয়েছে ২-ডিজি'র। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। 

তবে, ডিআরডিও'র এই নয়া ওষুধ তৈরির প্রকল্প কর্মকর্তা বিজ্ঞানী সুধীর চন্দানা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিলো। প্রত্যেকেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের দেহে অক্সিজেনের চাহিদাও কমাতে সাহায্য করেছে এই ওষুধ। শুধু তাই নয়, কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।'

ট্রায়ালে দেখা গেছে, যারা এই ওষুধ নিয়েছেন, তারা অপেক্ষাকৃত দ্রুত করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। ফেজ-২-তে মোট ১১০ জন করোনারোগীর উপর ট্রায়াল করা হয়। তৃতীয় ফেজে ২২০ জনের উপর ট্রায়াল চালানো হয়। দেশের মোট ২৭টি কোভিড হাসপাতালে এই ট্রায়াল করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, 'এটি একটি কৃত্রিম, মডিফায়েড গ্লুকোজ অণু। দেহের করোনা আক্রান্ত কোষের ভিতরে এটি ঢুকে যায়। এরপর সেই কোষের বিপাক প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়। এর ফলে ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। ফলে দেহে ছড়িয়ে পরতে পারে না। আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতির সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাছাড়া এই একই কারণে রোগীর অক্সিজেনের চাহিদাও কমে যায়।'

এডিবি/