ন্যাভিগেশন মেনু

করোনার বছরে ঈশ্বরদী থানায় মাদক মামলার রেকর্ড


করোনার বছরে মাদক মামলায় রেকর্ড গড়েছে ঈশ্বরদী থানা। ২০২০ সালে এ থানায় মাদকের ৩৯৫ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামী করা হয় ৪৬৫ জনকে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকের মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে অনেককে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বছর ছিলো ২০২০। এ বছরের মার্চ মাস থেকে কয়েক মাস দেশের সঙ্গে রেল, বাসসহ সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বন্ধ থাকেনি মাদক কারবারীদের দৌরাত্ম। এজন্য সামাজিক প্রতিরোধ না থাকাকে দায়ী করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের। বাকী মামলাগুলো হেরোইন, চোলাইমদ ও গাঁজার। তবে এসব মামলায় রাঘববোয়ালরা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে ঈশ্বরদীতে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধের জন্য মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান জোরদার করা হয়। এতে অনেকে ধরা পড়ে আবার অনেকে আত্মসমর্পণ করে মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের অঙ্গীকার করে। কিন্তু তারপরও মাদক বিস্তার কমেনি।

করোনাভাইরাস মহামারির বছর ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ৩৯৫টি মাদকের মামলা রুজু করা হয়। এ হিসেবে গড়ে প্রতিমাসে মাদক মামলা হয় ৩৩টি। এসব মামলায় আসামী করা হয় ৪৬৫ জনকে। গড়ে প্রতিমাসে আসামী হয় প্রায় ৩৯ জন। এসব মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনও তৈরি করে আদালতে দাখিল করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) অরবিন্দ সরকার বলেন, ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসা জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। প্রতিদিন এ বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি তল্লাশি কেন্দ্র বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। এতে মাদকসহ কারবারীদের ধরা হয়। মাদকের বিরুদ্ধে এভাবে অভিযান চালানোর ফলে করোনা পরিস্থিতিতেও মাদকের মামলার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের একার পক্ষে সমাজ থেকে মাদক নির্মুল সম্ভব নয়। এজন্য সমাজ সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

জে এইচ/এস এ/এডিবি