করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় জেকেজির চেয়াম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট বিভাগের এই বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানির অপেক্ষায় ছিল আবেদনটি।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) আবেদনটি কার্যতলিকায় ছিলো। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ফের কার্যতালিকায় আসবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।
গত ১৫ জুন তেজগাঁও থানায় কামাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ভুয়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে আরিফ ও পরে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২৩ জুন পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।
মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট শুনানির কথা থাকলেও আসামিপক্ষ মামলার নথি না পাওয়ার কথা জানিয়ে সময় চায়। এতে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
মামলাটি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে সাবরিনার আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন জানান, যেহেতু এ মামলার মূল ভিত্তিটা বেশ কিছু ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর আর প্রসিকিউশনও এসব ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা সাবরিনার পক্ষে সেসব ডকুমেন্টের তথ্য চেয়ে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি।
ওয়াই এ/এডিবি
