ন্যাভিগেশন মেনু

করোনার ভূয়া রিপোর্ট: সাবরিনা-আরিফের মামলার আদেশ রবিবার


করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেকেজির চেয়াম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও  সিইও আরিফ চৌধুরী বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাবরিনার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে সাবরিনার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান তুহিন।

আগামী রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই আবেদনটির ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা অপর আসামিরা হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।

গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।

গত ১৫ জুন তেজগাঁও থানায় কামাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ভুয়া কভিড-১৯ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে আরিফ ও পরে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২৩ জুন পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ১৩ আগস্ট শুনানির কথা থাকলেও আসামিপক্ষ মামলার নথি না পাওয়ার কথা জানিয়ে সময় চায়। এতে আজকের দিন ধার্য করা হয়।

মামলাটি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে সাবরিনার আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন  জানান, যেহেতু এ মামলার মূল ভিত্তিটা বেশ কিছু ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর আর প্রসিকিউশনও এসব ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা সাবরিনার পক্ষে সেসব ডকুমেন্টের তথ্য চেয়ে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি।

ওয়াই এ/এডিবি