করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা চলতি এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা তা গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসের চেয়েও বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিলের পুরো মাসে (৩০ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। সেই হিসাবে ১৫ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রবাসী আয়ের এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, এপ্রিল মাস রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড হবে। প্রবাসীরা যেভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তাতে এই মাস শেষে ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনও একক মাসে এত রেমিট্যান্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৮২ কোটি ৯১ লাখ ডলার বা ৩৫.০৫ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।
ওআ/