ন্যাভিগেশন মেনু

পাচারের শিকার ১৯ নারী-পুরুষ দেশে ফিরলো


পাচার হওয়া বাংলাদেশি ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত পাঠালো ভারত। ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়ার দুই বছর পর বাংলাদেশি ১৭ নারী ও ২ পুরুষকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। 

রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর (পেট্রাপোল) ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বাংলাদেশে ফেরত আসারা হল- রাজশাহী জেলার আজাদুল ইসলাম, নওগাঁর রুবেল রানা, বাগেরহাটে জেলার মারিয়া খাতুন, তানিয়া খানম, যশোর জেলার সোনিয়া পারভিন, ফাতিমা খাতুন, আফরোজা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার রাহিমা খাতুন, পটুয়াখালী জেলার নাসরিন বিউটি বেগম, নড়াইল জেলার খাদিজা পারভিন, শেফালি খাতুন, বিউটি খাতুন, রুনা বেগম, রোমেনা খানম, পলি বেগম খুলনার আছমা খাতুন ও সুনামগঞ্জ জেলার শেফালী বেগম।

ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ১৪ জনকে ও যশোর রাইটস ৫ জনকে গ্রহণ করে। যশোর রাইট ‘র প্রোগ্রামার অফিসার শাওলি শাওন জানান, ভুক্তভোগী নারীরা ভালো কাজে আশায় বিভিন্ন সময় দালালের প্রলোভনে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়।

এরা ভারতের পুনে শহরে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরবর্তীকালে ভারতের পুনে শহরের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে দুই বছর নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যোগাযোগের পর তাদের ট্রাভেল পারমিটে রবিবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরত পাঠায় ভারত সরকার।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ফেরত আসা ১৭ নারী ও ২ জন পুরুষকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের  কাছে হস্তান্তর করেছে। কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ১৪ জন ও যশোর রাইটস ৫ জনকে গ্রহণ করেছে। পরবর্তীকালে এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে বলে তিনি জানান।

এস এস